মুহাম্মদ হানিফ আজাদ ,উখিয়া : ইয়াবা ও মানবপাচার করে কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নলবনিয়া গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে নূরুল হুদা। দীর্ঘদিন ধরে উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হওয়ার সুবাদে সোনারপাড়ার মানবপাচারকারীর গডফাদার হিসেবে খ্যাত জেলে থাকা নূরুল কবির ও তার স্ত্রী রেবি ম্যাডামের সহযোগিতায় শত শত লোকজনকে মানবপাচারের এয়ারপোর্ট হিসেবে খ্যাত উপকূলীয় ঘাট বাদামতলী দিয়ে মালয়েশিয়ায় লোকজন পাচার করে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরকার ইয়াবা ও মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হলেও পুলিশ প্রশাসন চিহ্নিত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দাপটের সাথে ইয়াবা ও মানবপাচার অপপ্রতিরোদ্ধ হয়ে উঠেছে। এসব পাচারকারীদের রয়েছে বিপুল পরিমাণ নামে বেনামে সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশন এসব ইয়াবা ও মানবপাচারকারীদের সম্পদের তথ্য উদঘাটনে মাঠে নামলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয়দের অভিমত। জানা গেছে, উখিয়ার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের সচিব নূরুল হুদা বর্তমানে শূণ্য থেকে কোটিপতি। তার পূর্বে বসত ভিটা ছাড়া কোন সম্পদ না থাকলেও এখন কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ায় ওই ইয়াবা ও মানবপাচারকারী স্থানীয় গ্রামবাসীদের জমি-জমা কম দামে ক্রয় করে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এমন কি কম দামে সম্পত্তি বিক্রয় না করলে আগুন দিয়ে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে হত্যা করা হবে বলে এমন হুমকি ও স্থানীয় লোকজনদের দিয়ে যাচ্ছে। নলবনিয়া গ্রামের মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে মৌলভী শামশুল আলম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সম্প্রতি উখিয়া থানায় একটি জিডি করেছেন। কিছু দিন আগে লিংরোড এলাকায় পুলিশ ওই ইয়াবা পাচারকারীকে ধাওয়া করলে সে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জন্ম সনদ ও মৃত্যু সনদ নিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এব্যাপারে জানতে চাইলে নূরুল হুদা জানান, এলাকার লোকজন ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উত্তাপিত অভিযোগ সে অস্বীকার করেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ওসি মোঃ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ইয়াবা ও মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত: ১৫/১২/২০১৪ ৪:৩২ অপরাহ্ণ
পাঠকের মতামত